একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজধানীসহ সারা দেশের ৪৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা-১৫ (কাফরুল-মিরপুর) আসনে নির্বাচন করতে চান। ইতিমধ্যে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। এর বাইরে সারা দেশের আরও ৪২ জন জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এসব আসনে কোনো ছাড় দিতে চান না জামায়াত নেতারা।
তবে আরও বেশ কিছু আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে। জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি জেনারেল ড. রেজাউল করিম মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, আমাদের দলের সেক্রেটারি জেনারেল ঢাকা-১৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান।
এর আগে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান। তিনিও ইন্তেকাল করেছেন। এই আসনে জামায়াতের সাবেক নেতা মীর কাশেম আলী নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে গেছেন। এ কারণে আমাদের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিককে নির্বাচন করার জন্য দল থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কারণ ২০ দলীয় জোটের নেতা হিসেবে সার্বক্ষণিক তাকে ঢাকায় থাকতে হয়। এ বিষয়ে ২০ দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
জামায়াতের এই নীতিনির্ধারক আরও জানান, সারা দেশের ৪২টি আসনে জামায়াত নেতারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন। ওইসব আসনে জোটগতভাবে নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন তারা। না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তারা নির্বাচন করবেন। তবে আসন সংখ্যা আরও ৮ থেকে ১০টি বাড়তে পারে।
এসব আসনে কোনোভাবেই ছাড় দিতে নারাজ জামায়াতের নীতিনির্ধারকরা। উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ৭৬টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল। ওই নির্বাচনে দলটি ১০টি আসনে বিজয়ী হয়। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে জামায়াত। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি নির্বাচনে জামায়াত ১৮টি আসনে বিজয়ী হয়।
এই নির্বাচনে দলটি ২২২ জন প্রার্থী দিয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ৩টি আসনে জয়ী হয়। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে জামায়াত ১৭টি আসন পায়।মহিলা আসনগুলো থেকে ৪টি আসনে জয়ী হয় তারা। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ২টি আসনে বিজয়ী হয়। ওই নির্বাচনে দলটি জোটগতভাবে ৩৯টি ও ৪টিতে এককভাবে নির্বাচন করে। সুত্রঃ যুগান্তর