এখন যেটি সিরিয়া সেটাকে এক সময় বলা হতো শ্যাম। বর্তমান সিরিয়ার সাথে লেবানন ফিলিস্তিন ও জর্দান মিলে ছিল এ্ই শ্যাম।মধ্যপ্রাচ্যের সব গোলযোগের প্রধান কেন্দ্র্ হলো এখন এ্ই অঞ্চল। এই এলাকা এখন আঞ্চলিক বৈশ্বিক শক্তিসমূহের ক্ষমতার লড়া্ই ও মেরুকরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ঐশি তথ্য অনুযায়ী এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নবী রাসূলের আগমণ ঘটেছিল। ইসলামের মহানবী স. এর ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী এ্ই অঞ্চলেই ইমাম মেহেদির সাথে দাজ্জালের চূড়ান্ত লড়া্ই হবে এবং তাতে মসিহ দাজ্জালের মৃত্যু ঘটবে। হজরত ইসা আ. এর আগমণও সিরিয়ার এক মসজিদে ঘটবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংঘাত ও ধ্বংস এবং এর পর শান্তি ও সম্মৃদ্ধির কেন্দ্র হয়ে উঠবে এ্ই অঞ্চল এমন ধারণাটি সত্য হতে যাচ্ছে বলে মনে হয়।
এর মধ্যে পাশ্চাত্যের বিশ্লেষকরা বলছেন,জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক-আ্ইএমএফ এর কাঠামোর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল সেটি কার্যত ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ একেবারে শিথিল হয়ে পড়েছে। ইরানের পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাকি বিশ্বশক্তির মত পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ন্যাটোর অন্যতম প্রধান সদস্য তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাস ক্রমেই বাড়ছে। জার্মানি তার পররাষ্ট্র কৌশলকে মনে হচ্ছে আলাদাভাবে বিন্যাস করতে শুরু করেছে। চীন আর রাশিয়া নিজস্ব সমঝোতা ও হিসাব নিকাশ অনুসারে বিশ্ব ব্যাপি প্রভাব বিস্তারের সূচনা ঘটাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং ডলারের বিকল্প বিশ্ব বাণিজ্য মুদ্রা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব অনেক কিছুর প্রক্রিয়া সিরিয়া তথা শ্যাম বা লেবান্ট অঞ্চলকে ঘিরে শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সিরিয়ার প্রভাব
সিরিয়ায় শক্তিধরদের কার্যকলাপ, জোট এবং সংঘাতের দিকে মনোযোগ দিলে মনে হয়, সিরিয়ায় যা ঘটছে তা আসলে বিশ্বব্যাপী ঘটনার প্রতিচ্ছবি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরা্ইল এই অঞ্চলে ইরানকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে । এনিয়ে সিরিয়াতে সংঘর্ষ হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে লেবাননেও একই ঘটনা ঘটবে এবং লেবাননে নতুন ফ্রন্ট খুলে যাবে বলে মনে হচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে আসার উদ্দেশ্য হতে পারে এটিই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল লাইন এবং চীন-রাশিয়া-মধ্য ইউরোপ লাইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এই সিদ্ধান্তের কারণে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
জার্মানি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা স্বীকার করেনি এবং চীন ও ইরানের সাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে; তুরস্ক ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরত্ব বজায় রাখার নীতির অনুমোদন দিয়েছে; অস্ট্রিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্বস্ত মিত্র নেই”। আর প্রায় পুরো ইউরোপই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে বিভিন্ন্ ইস্যুতে।কার্যত মার্কিন-ইউরোপ বিচ্ছিন্নতাই এখন বিরাজ করছে।
বিশ্বব্যাপী এখন যে মেরুকরণ তা সিরিয়ার মেরুকরণ থেকে আলাদা কিছু নয়। সেখানকার মতো্ই উত্তাপ উত্তেজনা ক্রমবর্ধমান হবে বলে মনে হচ্ছে। বিশ্বের সর্বত্রই সিরিয়া সংঘাতের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। আফ্রোএশিয়ার বেশিরভাগই লোকই এ নিয়ে সচেতন নয়, তবে এ্ই অঞ্চল আর সে সাথে বিশ্বের প্রায় সব রাজনৈতিক / সামরিক বৃত্ত সিরিয়ার মতো মেরুকরণ হয়ে গেছে।
একা ও বিপজ্জনক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, মধ্য ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি বড় অংশ, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ায় বিস্তৃত অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী হয়ে উঠেছে। অনেকে বলেন যে তুরস্কই প্রথম বিচ্ছিন্নতার সন্ধান করেছে। তুর্কি সাংবাদিক ইবরাহীম কারাগুলের বিশ্লেষণ অনুযায়ী ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটানা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এর গতি সামনে আরও বাড়বে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এক বা অন্য উপায়ে এই গ্রহের প্রায় প্রতিটি দেশ এবং জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিধাহীনতা তার একাকীত্বকে বাড়িয়েছে আর বিশ্বের জন্য প্রাথমিক হুমকি হয়ে উঠেছে এটি। অনেক দেশ, শক্তি, বলয়, জোট চিন্তা করছে কিভাবে এই শক্তিকে বড় কোন ধ্বংস ছাড়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা থেকে নির্মূল করা যায়। কারণ বিশ্বের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যাগুলির অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্ব এবং কর্মের ফল।’
জার্মানি –তুরস্ক সমঝোতা চাইছে জার্মানি?
বিশ্বব্যাপী নতুন শক্তি গঠনের মানচিত্রের দিকে দৃষ্টি ফেললে দেখা যাবে,পশ্চিম বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ফিরে যাচ্ছে সেটি ইতিহাসে পশ্চিমের জন্য সমাপ্তিও হতে পারে। দেখতে হবে কিভাবে বিশ্বের ভবিষ্যত এবং মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ভবিষ্যত অবয়ব নেবে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ২৪ জুনের নির্বাচনের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে আহ্বান জানিয়েছেন একটি জরুরী অবস্থার দিকে দৃষ্টি দেবার জন্য। জার্মানি হয়তো বা তুরস্কের নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে কোন সন্দেহের মধ্যে নেই। তারা আসলে একটি ভয়ানক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে যে, বিশ্ব শক্তি পরিবর্তিত হচ্ছে। সৌদি আরব একটি জার্মান কোম্পানি নিষিদ্ধ করেছে। বার্লিন এখন রাশিয়া এবং চীন অক্ষের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছে। রাশিয়া ও ইরানের সাথে সিরিয়ায় তুরস্কের অংশীদারিত্ব এবং জার্মানির নতুন অবস্থানেএক সাথে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। এটি এরদোয়ানকে জার্মানিতে আমন্ত্রণের একটি বাস্তব কারণ হতে পারে।
আমেরিকার বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে বৈশ্বিক ফ্রন্ট!
পরিস্থিতিকে গভীরভাবে অবলোকন করলে মনে হবে,সমগ্র বিশ্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করছে। এটি এমন যে মনে হয় পুরো বিশ্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে এ কারণে যে দেশটি বিচ্ছিন্ন ও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সে সাথে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব এবং প্রজ্ঞা অতিক্রম করে দেশটির নেতৃত্বের প্রান্তিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত আরো ভারসাম্যহীন হয়ে উঠছে ।
আমেরিকার সাথে কাজ করে এমন প্রতিটি দেশ চূড়ান্ত হিসাব নিকাশে নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত দেখতে পাচ্ছে। এই মৌলিক ধারণার কারণে অনেক দেশই নিজেকে মার্কিন অক্ষ থেকে দূরত্বে সরিয়ে রাখতে চাইছে। এই প্রসঙ্গে, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিরিয়ায় কাজ করছে তারা শেষ নাগাদ হেরে যাবে। যারা দির ইজ-জোর থেকে গোলান পর্যন্ত একটি করিডোর খুলতে চাচ্ছে তারাও হেরে যাবে। যারা পিকেকের মাধ্যমে এলাকায় প্রভাব সম্প্রসারণ অভিযান পরিচালনা করছেন তারাও হেরে যেতে পারেন।
সিরিয়ার উপর ভালভাবে নজর রাখলে দেখা যাবে, সারা বিশ্ব সিরিয়ার মত উত্তপ্ত হচ্ছে, বিশ্ব মানচিত্রটি অবয়ব নিচ্ছে সিরিয়াতে প্রতিটি দেশের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে । ২৪ জুনের নির্বাচনের পর পরই ইউফ্রেটিসের পূর্বাংশের দিকে তুরস্কের জন্য নজর দেয়া জরুরীভাবে প্রয়োজন হতে পারে। তুরস্ক সিরিয়ায় তার উপস্থিতি আরো বৃদ্ধি করছে, এটি বৈশ্বিক পর্যায়ে তার উপস্থিতি বৃদ্ধি করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থায়নে আরব বিশ্বে তুরস্কের বিরুদ্ধে একটি তরঙ্গ তৈরির প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে । খুব শীঘ্রই, এই প্রকল্পটিও ভেঙ্গে যাবে।
তুরস্কের শক্তি প্রয়োগের ঝুঁকি
শক্তি এক ধরনের অধিকার তৈরি ও নিশ্চিত করে। তুরস্কের ইউফ্রেটিস শিল্ড এবং আফরিন অভিযান সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রের পরিকল্পনাকে ধ্বংস করে দেয়। যদি এই দুটি অপারেশন পরিচালিত না হত, তাহলে ইরানের সীমান্ত থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত একটি সন্ত্রাসী অঞ্চল গঠন করা হতো, তুরস্ককে দমন করা হতো এবং এ্ অঞ্চল থেকে আঙ্কারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। আনাতোলিয়ার অভ্যন্তরে আক্রমণের পর এসব ঘটনা ঘটতো।
এখন,পূর্বদিকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে)উপস্থিতি রক্ষা করতে একটি পরিকল্পনা সক্রিয় করা হয়েছে। আর ইউফ্রেটিসের পূর্বদিকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মানবিজিদেরকে বিতাড়নের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। এটি তুরস্কের জন্য একটি অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি। তুরস্ক ইউফ্রেটিসের পূর্বে যদি নিষ্কৃয় হয়ে পড়ে, ইরানের সীমানা পর্যন্ত সমগ্র দক্ষিণ অঞ্চলের সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে উৎখাত না করে আর ঐ অঞ্চলে বিদেশী উপাদানগুলির বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট লক্ষ্য ঠিক না করে তবে এখনকার মতো অবরোধ ও ধ্বংসের দৃশ্য চলতে থাকবে।
বাস্তবায়ন হলো না আফরিন পরিকল্পনা,গন্তব্য দক্ষিণে
তুরস্কের শত্রুরা একটি পরিকল্পনার পরে আরেকটি পরিকল্পনা করছে, এক হিসেবের পর করছে আরেক হিসাব। তারা দির ইজ-জোর এবং গোলান হাইটসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে একটি দক্ষিণ করিডোর নির্মাণের চেষ্টা করছে। তারা সিরিয়াকে বিভক্ত করতে চাইছে মাঝখানে ডান বরাবর দুটি অংশে এবং দক্ষিণ করিডোরের বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। এখানে নির্দেশক পয়েন্ট হলো একটি নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন প্রতিষ্ঠা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরা্ইল আবারও ইসলামী সা্ইনবোর্ড সর্বস্ব সংগঠন প্রতিষ্ঠা করছে এবং একটি নতুন আক্রমণের প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
তুরস্কের এক হস্তক্ষেপ সমগ্র আঞ্চলিক সমীকরণটি পরিবর্তন করে দিয়েছে। “আফরিন ছোট, কিন্তু এটি বহুজাতিক পরিকল্পনাগুলি ধ্বংস করবে” বলে যে কথা বলা হয়েছিল প্রকৃতপক্ষেই সেটি ঘটেছে। আফরিণ অভিযান-উত্তর পরিস্থিতিতে উত্তর সিরিয়ার পরিকল্পনা পাল্টে গেছে।এখন দক্ষিণে একটি নতুন করিডোর খোলার পরিকল্পনা সামনে আনা হয়েছে। তারা এখন এমন একটি দৃশ্যপট তৈরি করেছে যাতে ইসরাইল সিরিয়ায় আঘাত হানছে, ইরান ও ইসরাইল সিরিয়ায় সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স দক্ষিণ থেকে আক্রমণ করছে আর সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সিরিয়া যুদ্ধ পুনরায় শুরু করছে।
তবে যদি ইউফ্রেটিসের পূর্ব দিককে তুরস্ক উপেক্ষা করে থেকে মানবীজে স্থিরীকৃত হয় তবে হুমকি উত্তর সীমান্তে তুর্কি সীমানায় আবার ফিরে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আফরিন এবং হ্যাতয় উভয়টি হারাতে হবে। তুরস্ক কোন ভাবেই এই ভুল করবে বলে হয় না; মনে হচ্ছে তুরস্কের ২৪ জুনের নির্বাচনের পর এই অঞ্চলটি মারাত্মকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।
নানা শক্তির সক্রিয়তা
এ জন্য নানা শক্তি পরিকল্পনা করছে বলে মনে হয়। অতি সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে ইসরা্ইল-রাশিয়া একটি চুক্তি হচ্ছে সিরিয়া নিয়ে। চুক্তির আওতায় ইসরা্ইল-সিরিয়া সীমান্তে রাশিয়ার সেনা বাহিনীর অবস্থান থাকবে। সিরিয়ার সীমান্ত এলাকার অদূর থেকে ইরানি অবস্থান প্রত্যাহার করা হবে। এর বিপরীতে ইসরা্ইল অধিকৃত গোলান হা্ইটসকে সিরীয় সার্বভৌমত্বে ছেড়ে দেবে। এ ব্যাপারে ইসরা্ইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিবারম্যান মস্কো সফরে যাবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ্ ঘটনা এমন এক সময় ঘটছে যখন যুক্তরাষ্ট্র জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নিয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র কার্যত ইসরা্ইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে মধ্যস্ততাকারীর মর্যাদা হারিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গাজায় শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনের উপর নির্মম হামলা চালিয়ে ৬০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরাইল।ইসরাইল সম্ভবত চা্ইছে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করে ইরানকে এই অঞ্চলে নিষ্ক্রীয় করতে যাতে জেরুসালেমের উপর ইহুদি রাষ্ট্রটির কর্তৃত্ব পুর্ণতা পায়। সেসাথে তারা ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতার বিষয়টির অপমৃত্যু ঘটাতে পারে। এ্ অঞ্চলে মিসর ও সৌদি আরব- আমিরাতের ভুমিকার কারণে এটি সহজ হবে বলে মনে করছে তেলআবিব। কিন্তু তুরস্কের নেতুত্বে অন্য মুসলিম দেশগুলোর ভিন্ন অবস্থানের কারণে এটি সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে সিরীয় সংঘাত যে অনেক দূর এগুবে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।এ ধারণাও তৈরি হচ্ছে যে সিরিয়া নিয়ে মহানবীর যে ভবিদ্বাণী সেটিও সম্ভবত খুব নিকটবর্তী হয়ে আসছে।