ফ্রান্সে ইসলামের পুনর্গঠনের প্রস্তাব ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র
রবিবার ফরাসি জার্নাল ‘ডু ডিমানচি’কে দেয়া একটি সাক্ষাত্কারে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা ফ্রান্সে ইসলামের কাঠামো নিয়ে কাজ করছি; যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে এটিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায় তা নিয়েও আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতার ফরাসি ধারণাকে পুনরায় আবিষ্কার করা। জাতীয় সংহতি এবং মুক্ত চেতনা বজায় রাখার সম্ভাবনা সংরক্ষণের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে, ফরাসি নেতা তার সংস্কার পরিকল্পনা সম্পর্কে এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘কাজটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি প্রস্তাবটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করব না।’
সূত্র: পলিটিকো
যৌন হয়রানি রুখতে আইন করলো ফ্রান্স সরকার
ফ্রান্স দুই হাজার বছরের বেশি ঐতিহ্যের অধিকারী বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক নগরী। মানবাধিকার, রাজনীতি, শিক্ষা, বিনোদন,গণমাধ্যম, ফ্যাশন, বিজ্ঞান ও শিল্পকলা— সব দিক থেকে প্যারিসের গুরুত্ব ও প্রভাব এটিকে অন্যতম বিশ্ব নগরীর মর্যাদা দিয়েছে।
নারী ও পুরুষের সমানতালে উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে সমৃদ্ধ করছে দেশটির অর্থনীতি, সরকারি অফিস আদালত ও সংস্থাগুলোতে নারীদের সরব উপস্থিতি পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে বহু আগে। এবার প্রকাশ্যে নারীদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা নিশ্চিত করতে ও যৌন হয়রানি রুখতে আইন করেছে ফ্রান্স সরকার।
এই আইনের আওতায় নারীদের নিয়ে কোনো রকম কু-মন্তব্য করলেই ৯০ ইউরো বা ৯ হাজার ৩১৪ টাকা জরিমানা নির্ধারণ করেছে প্যারিসের প্রশাসন।
আইনে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে যদি কেউ কোনোভাবে নারীদের সঙ্গে অপমানজনক ব্যবহার করে তাহলেই সেই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সাধারণ মানুষও হতে পারে। হতে পারেন কোনো বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তবে যেই হন না কেন, শাস্তির বহর কিন্তু ব্যক্তি বিশেষে বদলাচ্ছে না। শাস্তি একটাই। নারীদের কোনোভাবে হেনস্তা করলেই দিতে হবে ৯০ ইউরো জরিমানা।
সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে অনেক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে ওই পর্যন্তই। দিন দুয়েক জেলে কাটিয়ে ছাড়া পেয়ে গেছে সেই কীর্তিমান। বিষয়টি নিয়ে নগরবাসিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত কাজে নেমে পরে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে বসা হয়। তারপরেই এই সিদ্ধান্তে নেয় ফ্রান্স সরকার।
যৌন আগ্রাসন রুখতে চালু হওয়া সরকারি পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছে প্যারিসের প্রত্যেক রাজনৈতিক দল।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই নারীদের যৌন হয়রানি সংক্রান্ত খবরে উত্তাল হয়েছিল প্যারিস। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছিল। প্রকাশ্যে রাজপথেই নারীরা যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছিলেন। একাকি নারী দেখলেই আক্রমণ করছিল দুর্বৃত্তরা। পুলিশি সক্রিয়তা বাড়লেও হেনস্তার ঘটনা রুখে দেওয়া যায়নি।