বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন কাজী ইমতিয়াজ হোসেন
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। একটি গর্বিত জাতি স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে দুর্লভ সম্মান বাঙালি পেয়েছে, তার জন্য সমগ্র জাতি তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ও চিরঋণী। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদা ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে পালন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের বড় একটি অংশ জুড়ে ছিল অতিথিদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ ও দর্শনের ওপর আলোচনা।
আলোচনা পর্বে বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রাম এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদত বরণকারী সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনা ও গভীর শোক প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও জনমানুষের জন্য ত্যাগ ও সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ও বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অভূতপূর্ব সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প সমগ্র দেশবাসীকে উজ্জীবিত ও দেশের উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার অনুপ্রাণিত করেছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতির একাংশজাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দূতাবাস ভবনে সকালে অনুষ্ঠানের শুরু হয় রাষ্ট্রদূত কর্তৃক প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। এরপর তিনি শিশু-কিশোরদের ও আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানের এ পর্বে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ শাহাদত বরণকারী সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের অর্জনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র সোনালি দিনগুলি প্রদর্শিত হয়। বিজ্ঞপ্তি