বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে ট্রাভেল পারমিট নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে সরকার অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, তারেক রহমান সাময়িকভাবে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং সঙ্গত কারণেই তা পেয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই তিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগে তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। সে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার পাসপোর্ট জমা রেখে তাকে ট্রাভেল পারমিট দেয়া হয়েছে।
এ মুহূর্তে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তার কোনো কাজে লাগছে না। যখনই তিনি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হবেন, তখনই তিনি দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতোই পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানাবেন এবং তা অর্জন করতে পারবেন, বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগ থেকে তারেক রহমানের পাসপোর্ট লন্ডন হাইকমিশনে পাঠানোর যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, তার দ্বারা কোনো আইন কিংবা যুক্তিতে প্রমাণ হয় না যে, তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন।
এ ধরনের উদ্ভট ধারণাকে তত্ত্ব কিংবা তথ্য হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন কিংবা ফেসবুকে প্রচার রাজনৈতিক মূর্খতা এবং উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে অদ্ভুত, যুক্তিহীন ও বেআইনি মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, কী কী কারণে একজন নাগরিক জন্মসূত্রে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব হারাতে পারেন-এটি তিনি জানেন না।
গত ২১ এপ্রিল যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সবুজ পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার শাহরিয়ারকে আইনি নোটিশ পাঠান বিএনপির এক আইনজীবী।
বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে রুহুল কবির রিজভী সরকারকে বলেন, তারেক রহমান পাসপোর্ট জমা দিয়ে থাকলে তা দেখান।
নোটিশের ঘটনা প্রকাশের পর সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন শাহরিয়ার আলম।।
এ সংবাদ সম্মেলনের পরপরই তারেক রহমানের পাসপোর্ট এবং আবেদনের কপি ফেসবুকে পোস্ট করেন শাহরিয়ার আলম।, তবে এখন তার পেজে এসব আর দেখা যাচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার একটি পোস্টে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার ফেসবুক হ্যাকড হয়েছে। তারেক রহমানকে নিয়ে দেয়া পোস্ট উধাও হয়ে গেছে।(যুগান্তর রিপোর্ট)