অধ্যাপক ফরিদ আহমদ রেজা :জনপ্রিয় ইসলামী চিন্তাবিদ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর তারিক রামাদান ধর্ষণের অভিযোগে অনেক দিন থেকে আটক আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এখনো আদালতে প্রমাণিত হয়নি। তবে নারীবাদী সালাফি লেখিকা হেন্দা আয়ারি নামের এ নারীর আনীত ধর্ষণের অভিযোগ প্রায় মিথ্যা প্রমাণের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য আদালত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তা খারিজ করে দেয়নি।
ফরাসি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ‘ইসলাম ২১ সি ডটকম’ নামের একটি গণমাধ্যম বলেছে, হেন্দা তার অভিযোগে যেদিন ধর্ষণের কথা বলেছেন সেদিন তিনি তার ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। এ ব্যাপারে তার ভাই সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং বিয়েতে যে ভিডিও করা হয়েছে, সেখান থেকে হেন্দার উপস্থিতির প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আয়ারি প্রথমে অভিযোগ করেন যে, ২০১২ সালে মার্চ মাসে তিনি প্যারিসের ক্রাউন প্লাজায় তারিক রামাদানের দ্বারা নির্যাতিত হন। যদিও এ ধরনের অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করেন রামাদান। কিন্তু পরবর্তীতে হেন্দা দাবি করেন, আসলে ওই বছরের মে মাসে প্যারিসের একটি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
তবে এই মামলা এখন একটি বিশেষ দিকে মোড় নিয়েছে যখন হেন্দার অভিযোগ অনুযায়ী প্রমাণ হয়েছে যে, ২০১২ সালের ২৬ মে তিনি তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। এর ফলে সুইস নাগরিক ও বুদ্ধিজীবী রামাদানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করা হেন্দার জন্য অত্যন্ত কষ্টের হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ার পরও ফরাসি আদালত রামাদানের জামিন মঞ্জুর করেনি বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম খালিজ টাইমস।
তিন পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেছে, তারিখ নিয়ে হেরফের হলেও মূল অভিযোগ এখনও প্রত্যাহার করেনি অভিযোগকারী। তাছাড়া আরো এক নারী তার বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে সেটির কথাও উল্লেখ করেছে আদালত।
এর বাইরে তৃতীয় এক ফরাসি নারী অভিযোগ করেন যে, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তারিক তাকে নয়বার ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু আদালত সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, তথাকথিত ওই ধর্ষণের অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফ্রান্সের কারাগারে রয়েছেন ৩০টির বেশি সাড়া জাগানো বই ও সাত শতাধিক প্রবন্ধের লেখক তারিক রামাদান। ফরাসি আইন অনুযায়ী তার জামিন পাওয়ার অধিকার থাকলেও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি পরিবারের লোকজনকেও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
https://www.islam21c.com/…/breaking-tariq-ramadans-accuser…/
