খালেদার জিয়ার কিছু হলে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত জোটের বৈঠকে
রবিবার রাতে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৈঠকে সাম্প্রতিক দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বেগম জিয়ার মামলা বিষয়ে নেতিবাচক কিছু হলে সর্বাত্মক আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, সভায় বেগম জিয়ার মামলার বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর এই মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে- বেগম জিয়ার কিছু হলে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে যাবে জোট। এ বিষয়ে সবাই একমত হয়ে সম্মতি দিয়েছেন।
রবিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই বৈঠক শুরু হয়ে চলে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত।
বৈঠকে জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির খন্দকার গোলাম মূর্তজা (এনডিপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জোটের করণীয় নিয়ে আলোচনা ছাড়াও জোট সম্প্রসারণে নেজামী ইসলামীকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে শনিবার দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই বৈঠক থেকে।